আমরা প্রতিদিন যুদ্দ করি নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য ,বাঁচার জন্য । বাঁচি কেন? __জীবনের জন্য।
জীবন কেন?__তা মনের আশা/সপ্ন পূরণের জন্য। আশা /সপ্ন কেন ?__ এর জবাব টা এত সংক্ষেপে নয়।
একজন চোঁর আশা করে একদিন ভাল হয়ে যাবে কিন্তু সপ্ন দেখে বড় লোক হবে।বাবা -মা আশা করে তার সন্তান তাদের মুখউজ্জ্বল করবে আর সপ্ন ও দেখে তাদের সন্তান বড় কিছু হবে।সবাই এতো ভাল কিছু আশা করেও সবাই সবাই কে খারাপ বলে যাচ্ছি কারন আমরা যে যাই কিছু করি ,নিজের ব্যাপার টা ভালো বুঝি আর অপরের টা খারাপ মনে করি ।আসলে সবাই যদি নিজে যেটা করা সম্ভব সেই অনুযায়ী সপ্ন/আশা করত তাহলে সবারই একটা সীমারেখা থাকতো, নিজের কর্ম দক্ষতার চেয়ে বেশি কিছু পেতে চাইত না ।সবার ভিতরগত আচারন ঠিক থাকতো। মনে এক রকম আর বাহিরে এক রকম হত না।
কত মনিষী কত বানী দিয়ে গেছেন____ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ।তাহলে এই কথার কি মূল্য রইলো ?যদি মানুষ মানুষ কে বিশ্বাস করাটা আজ এতটাই মুশকিল।
আজকাল মানুষ মানুষ কে ধোঁকা দেয়া, অন্য কারো টাকা মেরে দেয়া ,লুট করা, ঘুষ খাওয়া- ঘুষ দেয়া ,জালিয়াতি, দুর্নীতি সবকিছুই যেন বৈধ হয়ে গেছে। কোথায় আর বাদ আছে ? মানুষ যেন টাকা আয় করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সন্তান কোথায় পড়াশুনা করলে অল্প সময়ে বড় অফিসার হয়ে বেশি টাকা আয় করতে পারবে আর এই প্রতিযোগিতায় রয়েছেন সন্তানের বাবা-মা ।আসলে একটা মানুষের কি পরিমান অর্থ -আভিজাত্য দরকার টা মানুষ নিজেও জানে না।সব কিছু যদি আশা পূরণের জন্য হয় তবে জীবনের জন্য কি সুখ দরকার ছিল না? সুখ কি সত্যিই ওই অতিরিক্ত অর্থ -আভিজাত্য এর মাঝেই রয়েছে?
সমাজ যেন আজ ভালো মানুষের মুখোশ পরিহিত একটা পরিবেশ যার সবার ভিতরে অর্থ -আভিজাত্তের এক প্রলেপ লাগানো সেটা বাহির থেকে উপলব্দি করা যায় না। সবার মাঝেই একটা ভাল আর একটা খারাপ জীবন আছে, সেই ভালো জীবনটাকে আমরা অর্থ -আভিজাত্য এর আড়ালে রেখে দেই ।আসলে আমরা যা দেখি টা আমরা দেখি না দেখে আমদের অধিক চাহিদা সম্পন্ন মন।
আমরা যেটা নিজে নাও পারি সেটা আমরা আশা করি ,সপ্নও দেখি আর নিজের দেখা সেই স্বপ্নটা হয়তো বা আরেক জনের ঘারে চাপিয়ে দেই ,নিজে যা হতে পারি নি সেটা সন্তান কে দিয়ে আশা করি ।সন্তানের উপর বাড়তি চাপ দিয়ে তার ইচ্ছে শক্তি টা ধ্বংস করে দেই।এভাবেই হয়তো কেটে এসেছে সময় আর হয়তো বা এভাবেই কাটবে আগামীর দিনগুলো ।